তাহলে বসন্ত এলো°তাহলে বসন্ত এলো রক্ত-কুসুমিত,সন্তের ক্রূরতা আর খুনীর সন্ন্যাসেদিগন্ত পেরিয়ে—দল বেঁধে রক্তমুখা ইঁদুরেরা আসেতাহলে বসন্ত ভালো, হিম-কুসুমিয়া?শেষবার জ্বলে উঠে শ্বেত ফসফরাসনিভে গেলো জীবনের আশ্চর্য কিমিয়া!নিদালি প্রান্তরে কারা হয়েছে মুখর,সাপ আর শয়তানের উদগ্র সঙ্গম;ধাবমান বসন্তের-শববাহী-ঘোড়া,রথের সারথী হাওয়া, অন্ধ নিরঙ্গমবসন্তেও পাতা ঝরে,পাতা ঝরে,পাতা ঝরে,পাতা ঝরে— এতো শব্দময়!রিহার্সেল°সকাল সকাল মৃত্যুর রিহার্সেল করছে শিশুরা।এ ওকে গুলি করছেসে তাকে।ও […]
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস
জীবন আপনাকে নানান আনন্দে উদ্ভাসিত করবে। জীবন আপনাকে নানান সংকটে সংকুচিত করবে। জীবন এমনই। জীবন আছে বলেই এর বহুমাত্রিকতায় আপনি বিস্মিত না হয়ে পারবেনই না।
জীবন ভোরবেলার নদী দেখার মতো সুন্দর।
লিলিয়ানা
আনোয়ারের বোনের কাছে আমি প্রথম যেদিন যাই মনে আছে পৃথিবীতে সবাই ঘুমায়ে ছিলো ঘরবাড়ি সব পাতালে ডুবে ছিলো চারদিকে চিরকাল যেন সবুজ মাঠ আর সেই মাঠের মাঝখানে একটা কাঠের টেবিল আর সেই টেবিলের দুদিকে দুজন বসে আছি আনোয়ারের বোন অংক বই বের করে বলে আমার অংকেই যত সমস্যা স্যার অন্য সাব্জেক্টে তো ভালোই মার্কস পাই আমি ভাবি তাকে স্যার ডাকতে মানা করি আবার ভাবি থাকুক যা খুশী ডাকুক বা আমি টের পাই ও মাগো একি কান্ড বোবা হয়ে গেছি কথা বলতে পারিনা এই চেয়ার থেকে উঠে সবুজ মাঠের যেকোনো একদিক দৌড়ে যেতে পারিনা কেবল বসে থাকি আর আনোয়ারের বোন বলতে থাকে স্যার আমি কিছুতেই বীজগনিতের সুত্র মনে রাখতে পারি না
আয়নার মুখোমুখি
আয়না : কী রে, কেমন আছিস?
আমি : ভালো আছি বলতে হয় বলে বলছি। নইলে বলতাম, এই বালের জীবন ভাল্লাগে না। এতো এতো ট্রাই করার পর যেইটারে ভালো রাখতে হয় বা ভালো থাকার ভান কইরা যাইতে হয়। সেই জীবন দিয়া কী করিব?
লাইফ ইন বরেন্দ্র : জলরঙে সুমনের কাব্যিক উচ্ছ্বাস
সুমনের ছবিতে চিরায়ত গ্রাম-বাংলার চিরপরিচিত রূপটাই খুঁজে পাওয়া যায়। বাঁশঝাড়, গরুসহ গরুর গোয়াল, নদী-ঘাট, খেজুর গাছ, ঘরের ছাউনি দেয়া ও টালিঘর, গরুর গাড়ি, গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, মানুষের মুখরতা আর আছে মাটির ঘর। মাটির-ঘর আর লাল-মাটির এই চিত্রসৌন্দর্যই আলাদা করে বরেন্দ্র অঞ্চলের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ অঞ্চলের পল্লীর দৃশ্য, বয়ে চলা নদী, নদীর দুপাশে গ্রাম, সাঁওতাল জনপদ এ সবই ওর ছবি আঁকার বিষয়