যে শৈশব ভুলে যেতে চায় তরী, সেই শৈশবে সে বাবাকে ভালোবাসত। বাবার সাইকেলের সামনের রডে বসেই টো টো ঘুরে বেড়ানো। বাবার কাছেই ঝোড়া-ভরা আবদার। মায়ের খাঁ খাঁ শাসনের একপাশে বাবার একফালি প্রশ্রয়ের মরুদ্যান। রোববার টিভিতে অ্যালিস যখন জাদু-গর্তে ঝাঁপ দেবে দেবে, সেই সময় বাবা গলা-খাঁকারি দিয়ে বলত, ‘ঠিক আছে, আর অঙ্ক করতে হবে না। আজকের মতো ছুটি।’ রান্নাঘর থেকে মা ছুটে আসত। উত্তেজনায় হাতের খুন্তি নড়ত এদিক ওদিক। ‘একদম না, প্র্যাক্টিস করুক। সবসময় ওর তীরে এসে তরী ডোবে।’