সাহিত্য ও রাজনীতির দাম্পত্য সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই। তবে এই সরল বাক্য আদতে সরল নয়— কেননা, মানুষের চিন্তার স্থাপত্যে সাহিত্য ও রাজনীতির সংজ্ঞায়ন যুগে যুগেই ভিন্ন। ‘সাহিত্যে রাজনীতি’, ‘রাজনীতির সাহিত্য’ বা ‘রাজনৈতিক সাহিত্য’ বললে আলোচনার বিষয় ও বাস্তবতাকে খানিক ছোটো করে আনা যায় বটে; কিন্তু তাতে আলোচনাটি ঠিকঠাক মতো হয় না বলেই আমি মনে করি। কারণ, সভ্যতার আদি পর্বে মানুষ মূলত তার চিন্তার সূত্রে শিল্প-সাহিত্য-রাজনীতি ইত্যাদির অবয়ব দান করেছে। সুতরাং মানুষের চিন্তার বিবর্তনকে যদি প্রেক্ষণে রাখা যায় তবে এটা স্পষ্ট হয় যে, মানুষ মূলত তার চিন্তার চিৎকারে পক্ষ অবলম্বন করেছে বা পক্ষ পাল্টেছে। এই বিবর্তনের ধারা আবার সভ্যতার বৈশিষ্ট্যানুযায়ী ভিন্ন। প্রাচীন গ্রীক, রোমান বা ভারতে মানুষের চিন্তার যে অবমুক্তি ঘটেছে তার সঙ্গে দর্শনের সম্যক সম্পর্ক বিরাজমান।