সিলভীর সাথে আমার প্রেমটাও ছিল এমন। সত্য সত্য চলতে চলতে তার মধ্যে মিথ্যে ঢুকে গিয়েছিল। দিনে দিনে সেই মিথ্যে আচরণগুলো, সেই মিথ্যে অভিনয়গুলোই আমার জীবনে সত্য হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। একটা বনসাই হয়ে উঠেছিলাম দিনে দিনে। এই যে আমি হীনম্মন্যতায় ভোগা ভীতু প্রকৃতির একজন মানুষ, অথরিটি পার্সোনে আমার জড়তা, সবসময় ‘আমি ঠিক নাই’ ভাবা, বা, এই যে আমাকে কেউ প্রত্যাখান করলে সঙ্গে সঙ্গে সে আমার সমস্ত মনোযোগের কেন্দ্র হয়ে ওঠে আর আমি তার মনোযোগ আকর্ষণের ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে অবচেতনেই অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকি— এসবই তৈরি হয়েছে আসলে সিলভীর সাথে প্রেমের সময়কালে।
ধুলোলীন মুখ ও অন্যান্য কবিতা
বিপন্নতাটুকু নাও; এই নাও ধুলোলীন মুখ।
হে জবাকুসুম, হে জলকোমল, হে পীর-পার্বতী—
নাগরিক অন্ধকারে নিরুপায় বসে আছি একা
মিথুন-রেখার পাশে আমাকেও টেনে নিও তুমি—
দেবদাসের জীবনপ্রভাত
দেবদাসের দেখার দৃষ্টি সরল। সহজতাই তাঁর লেখার প্রাণ। তাঁর গদ্যের অন্যতম শক্তি হলো পাঠককে সম্মোহন করা। গ্রামের সহজ সরল মানুষ, মাঠ-ঘাট পেরিয়ে এক হাঁটু ধুলোরাঙা পায়ে হেঁটে চলেছেন মাজা বেঁকে যাওয়া এক বদ্যিবুড়ি। তার কাঁধের ঝুলিতে সালসার শিশি, কন্টিকারীর বড়ির কৌটা, আরো কত কিছু! আর সেই বুড়ির সঙ্গে হেঁটে চলেছেন আপনি। হ্যাঁ, আপনি। গাবগাছ, কামরাঙাগাছ, সবুজ ক্ষেতের পাশ দিয়ে গাঁয়ের শান্ত, নীরব পথে। হেঁটে চলেছেন দেশভাগের করুণ ইতিহাসের বোঝা মাথায় নিয়ে।
গোপাল কবিরাজ
প্রায়ই মনে হয় আচমকা এসে কেউ পেটের ডান পাশে একটা চাকু ঢুকিয়ে দেবে।প্রায় আট-দশ বছর ধরে এই আতঙ্কটা আমাকে তাড়া করছে। বহুবার, নানান উছিলায় এটাকে ভুলে থাকার চেষ্টা করি। ভুলে যাইও। আবার কীভাবে কীভাবে যেন ফিরে আসে।এটার শুরু হয়েছিল গোপাল কবিরাজের সাথে দেখা হবার পর থেকে। ছোটপিশির বাড়িতে সেদিন সন্ধ্যায় আমাকে দেখেই তার মুখ গম্ভীর […]
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস
জীবন আপনাকে নানান আনন্দে উদ্ভাসিত করবে। জীবন আপনাকে নানান সংকটে সংকুচিত করবে। জীবন এমনই। জীবন আছে বলেই এর বহুমাত্রিকতায় আপনি বিস্মিত না হয়ে পারবেনই না।
জীবন ভোরবেলার নদী দেখার মতো সুন্দর।
আয়নার মুখোমুখি
আয়না : কী রে, কেমন আছিস?
আমি : ভালো আছি বলতে হয় বলে বলছি। নইলে বলতাম, এই বালের জীবন ভাল্লাগে না। এতো এতো ট্রাই করার পর যেইটারে ভালো রাখতে হয় বা ভালো থাকার ভান কইরা যাইতে হয়। সেই জীবন দিয়া কী করিব?
লাইফ ইন বরেন্দ্র : জলরঙে সুমনের কাব্যিক উচ্ছ্বাস
সুমনের ছবিতে চিরায়ত গ্রাম-বাংলার চিরপরিচিত রূপটাই খুঁজে পাওয়া যায়। বাঁশঝাড়, গরুসহ গরুর গোয়াল, নদী-ঘাট, খেজুর গাছ, ঘরের ছাউনি দেয়া ও টালিঘর, গরুর গাড়ি, গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, মানুষের মুখরতা আর আছে মাটির ঘর। মাটির-ঘর আর লাল-মাটির এই চিত্রসৌন্দর্যই আলাদা করে বরেন্দ্র অঞ্চলের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ অঞ্চলের পল্লীর দৃশ্য, বয়ে চলা নদী, নদীর দুপাশে গ্রাম, সাঁওতাল জনপদ এ সবই ওর ছবি আঁকার বিষয়