দোলং নদীর পাড়ে নন্দকুমার দেউনিয়ার বাড়িতে কুশান পালার আসর ছেড়ে আসবার কালে মাঘমাসের শীতের জাড়ে ঈষৎ বিচলিত হলেও একসময় দোলগোবিন্দ ধনি নিজেকে সামলে নিয়ে কুশায়ায় স্থিরচিত্রের মতো দাঁড়িয়ে থাকা তার দুধবর্ণ ঘোড়াটির পিঠে চেপে বসেন। তখনো তার সমস্ত শরীরে মিশে আছে কুশানের সুর, খোসা নাচের স্পন্দনগুলি। শীতকুয়াশায় ছুটে চলে দোল ধনির নির্জন অশ্বটি আটপুকুরির ধনিবাড়ির দিকেই। এই দৃশ্যে হয়তো একটা দার্শনিকতা থাকে। থেকেই যায়।
ধর্মবক ও অন্যান্য কবিতা
শীতকাল জাঁকিয়ে বসেছে, গরুগুলো স্যুয়েটার পড়ে সকালের
রোদে চিবুচ্ছে খড়। গরুর মালিক লোকটি গেঁয়ো আর
গোবেচারা। তাই চাইছি, শহরের কফিশপ থেকে কেউ ধোঁয়া
ওঠা কয়েক মগ গরম কফি এনে গরুদের দিক।
নুসরাত নুসিনের কবিতা
হরিণের খেত দেখেছি পৌঁছেছি, তবু পৌঁছানো গেলো না, দুলে ওঠা অঢেল ধ্বনিটির কাছেহাওয়ায় হাওয়ায় একবার তবে বেরিয়ে পড়া যাক কোমলডাঙার দিকেচমকিত পড়ে আছে হরিণের খেত। আজ মাঠে শীত নেই, অনেক স্লোগানপ্রলম্বিত হলে জমে ওঠে পাখিবাসনার সাধনা। যার যার নিজের দিকে ফেরা।ও হো ঘাটের বেদনা, ছেয়ে আছে বৃহৎ মধুপুর। সে যে ডুবিয়ে মারে।অনেক গানের পর থেমে […]
হিজল জোবায়ের-এর কবিতা
তাহলে বসন্ত এলো°তাহলে বসন্ত এলো রক্ত-কুসুমিত,সন্তের ক্রূরতা আর খুনীর সন্ন্যাসে দিগন্ত পেরিয়ে—দল বেঁধে রক্তমুখা ইঁদুরেরা আসে তাহলে বসন্ত ভালো, হিম-কুসুমিয়া? শেষবার জ্বলে উঠে শ্বেত ফসফরাসনিভে গেলো জীবনের আশ্চর্য কিমিয়া! নিদালি প্রান্তরে কারা হয়েছে মুখর,সাপ আর শয়তানের উদগ্র সঙ্গম; ধাবমান বসন্তের-শববাহী-ঘোড়া,রথের সারথী হাওয়া, অন্ধ নিরঙ্গম বসন্তেও পাতা ঝরে,পাতা ঝরে,পাতা ঝরে,পাতা ঝরে— এতো শব্দময়! রিহার্সেল°সকাল সকাল মৃত্যুর […]