কবিতাভাবনা মাসুদ খান

Posted: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
Category: প্রবন্ধ
By:


কবিতা-অরণ্য হলো সেই রহস্যমেদুর রেইন ফরেস্ট, যেখান থেকে অক্সিজেন নেয় বহু-বহু বিষণ্ন ফুসফুস আর ত্যাগ করে খেদ ও নির্বেদ, গ্লানি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড, এমনকি কখনো-কখনো মনোক্সাইডও। আর সেই বৃষ্টিবন ওইসব বিষ ও বিষাদকে ফের রূপান্তরিত করে ফেলে দ্রুত অম্লজানে। কবিতার রয়েছে সেই অভিনব সালোক-সংশ্লেষণী ক্ষমতা।

কবিতা এমনই এক ওপেন-এন্ডেড রহস্যপ্রপঞ্চ, অনির্ণেয় যার সংজ্ঞা, অমীমাংসিত যার হয়ে ওঠার সূত্র। কবিতা নিয়ে যুগযুগ ধরে কত কথা ও কোলাহল, কত উপলব্ধি— নানা মহাজনের। সমস্ত কথা ও কোলাহলের পরে দিনশেষে মনে হয়, কবিতা, বা যে কোনো নন্দনশিল্প, শেষপর্যন্ত রূপরচনা, সৌন্দর্যসৃজন। সেই রূপ যা প্রোজ্জ্বল ও প্রশান্ত, সেই সৌন্দর্য যা ধারালো অথচ স্নিগ্ধ, যা সংবেদী সমঝদার পাঠকের চিত্তে জাগায় বিস্ময়জনিত মুগ্ধতা এবং তা-থেকে উৎসারিত চিদানন্দ। এই ‘বিস্ময়জনিত মুগ্ধতা’ প্রসঙ্গে গিয়ম অ্যাপোলিনেয়ার তো বলেইছিলেন, ‘দ্য সিঙ্গল গ্রেটেস্ট পটেনশিয়াল অফ পোয়েট্রি ইজ সারপ্রাইজ’।

যদিও এ-কথা ঠিক, দেশ-কাল-শ্রেণি-ও-রাজনীতি-নিরপেক্ষ সর্বজনীন সৌন্দর্যবোধ বলে কিছু নেই, তবুও যেহেতু ‘রূপ ও সৌন্দর্য’, তাই স্বাভাবিকভাবেই কবিতার ভাব ও ভাষা, আধার ও আধেয় এদের পরস্পরের মধ্যে থাকে, থাকতে হয়, সুষমা, সুসংগতি, পরিমিতি ও ভারসাম্য, যা সৌন্দর্যেরই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক। আবার কবিতা যেহেতু ‘সৃজনলীলা’ও, তাই তাতে থাকতে হয় নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য— কনটেন্ট ও ফর্ম উভয় দিক থেকেই, থাকতে হয় মৌলিকত্ব (অরিজিনালিটি অর্থে)।

কবিতায় ভাব ও ভাষা তো বটেই, সেইসঙ্গে ছন্দ-অলংকার-অনুপ্রাস, অঙ্গ-আঙ্গিক এসবের যুগপৎ যোগসাজশ এবং সম্মিলিত তিল-তিল অবদানের মধ্য দিয়েই সম্ভব হয়ে ওঠে সর্বাঙ্গ সৌন্দর্যসৃজন, কবিতার তিলোত্তমা গড়ন। যেমন ধরা যাক ‘অলংকার’। বিষয় বা ভাববস্তুর থাকে একটি স্বাভাবিক সৌন্দর্য, উপযুক্ত ও পরিমিত অলংকারে সে-সৌন্দর্য হয়ে ওঠে আরো মাধুর্যমণ্ডিত। আবার ছন্দের কথা যদি ধরি— ছন্দ সম্ভব করে তোলে, এবং বজায় রাখে, কবিতায় অন্তর্নিহিত সুরের দিকটি। এবং ছন্দের শাসনে সাধিত হয় কবিতার পরিমিতি ও ভারসাম্যও।

যে কোনো নন্দনশিল্পের সঙ্গে অপরিহার্যভাবে যুক্ত থাকে নিমগ্ন সাধনা । সস্তা মনোরঞ্জন শিল্পের অভীষ্ট নয়। তবে শিল্পীর যেমন চাই সাধনা, তেমনই সমঝদারিত্বের জন্য শিল্প-উপভোক্তারও চাই কিছুটা দীক্ষা, কিছুটা প্রস্তুতি। এ কথাগুলি কবিতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভাব ও ভাষার কোন জাদুকরী কম্পোজিশন, কোন রুহুদারি বিন্যাসের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে যে কোন প্রকারের ফুল, সে-এক রহস্যই বটে। তবে এও সত্য— সহজ-স্বাভাবিক অথচ লাগসই শব্দমালার বিশেষ বিন্যাসে কোনো ভাববস্তুকে মৌলিক ও হৃদয়গ্রাহী করে ফুটিয়ে তোলাটাই কৃতিত্বের। মৌলিক ও হৃদয়গ্রাহী। উৎকৃষ্ট কবিতা সেটিই, যার উপরিতল-অন্তস্তল…নানান তল থেকে, বিভিন্ন কৌণিক দিক থেকে, বিভিন্ন স্তরের পাঠক আহরণ করতে পারে কবিতার মর্মপ্রসাদ, আস্বাদন করতে পারে তার সৌন্দর্যসার। প্রতিটি উৎকৃষ্ট কবিতাই যেন এক স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সর্বাঙ্গসুন্দর প্রস্ফুটন— প্রফুল্ল, সজীব, গতিশীল। সমকাল অতিক্রম করে সে-কবিতা যায় কালান্তরে। উৎকৃষ্ট কবিতার একটি গুণ হচ্ছে এই কালান্তরগম্যতা-গুণ। উৎকৃষ্ট কবিতার অভিঘাত সিনক্রনিক তো বটেই, ডায়াক্রনিকও।

২.
কবিতা এক গুরুত্বপূর্ণ শিল্পমাধ্যম। কারণ, মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধির সৎ ও অকৃত্রিম প্রতিফলন ঘটে কবিতায়, আর সেই অনুভূতি ও উপলব্ধি একজন সৃজনশীল শিল্পীর অনুভূতি ও উপলব্ধি।

শিল্পীমানুষের অনুভূতি। কথাটি এজন্য বলছি যে, শারীরতত্ত্ববিদ পাভলভের মতে, একজন শিল্পীমানুষের ফার্স্ট সিগনালিং সিস্টেম থাকে শক্তিশালী। কবিদের, শিল্পীদের ইন্দ্রিয় নিত্যজাগর, সদাপ্রখর। বাইরের জগতের যে-কোনো সংকেত— হোক তা সুখের কিংবা অসুখের, আনন্দের কিংবা ব্যথার, ভয়ের বা নির্ভয়ের, হোক সে-সংকেত উত্তাল কিংবা নিস্তরঙ্গ, লাউড কিংবা হাস্কি কিংবা মাফল্ড— আগে ধরা দেয় শিল্পীমানুষের অ্যান্টেনায়। সাড়া তোলে তাঁর সংবেদী চেতনায়, তৈরি হয় সে-সম্পর্কিত অনুভূতি ও উপলব্ধি। আর যেহেতু কবি সৃজনশীল, তাই তাঁর সেই অনুভূতি ও উপলব্ধির প্রতিফলন তিনি ঘটান এমন এক কাব্যিক জগৎ তৈরির মধ্য দিয়ে, এমন এক প্রকৃতি-সৃজনের ভেতর দিয়ে যে, সেই জগৎ, সেই প্রকৃতি এই প্রচলিত জগতের বস্তু-বাস্তবতা, শব্দ-নৈঃশব্দ্য দিয়েই গড়ে ওঠে বটে, কিন্তু গাঁথা হয়ে ওঠে এক ভিন্নতর সম্পর্কসূত্রে, বিন্যস্ত হয় যেন এক অপ্রাকৃত বিন্যাসে, এক আপাতছদ্ম যুক্তিসিলসিলায়।

এজন্যই, কবি যা সৃষ্টি করেন তাকে বলা হয় ‘বিকল্প জগৎ’, ‘বিকল্প প্রকৃতি’, যেখানে খেলা করে অন্য আলো-ছায়া, অন্য মেঘ-রোদ্দুর, অন্য নিসর্গ— ভিন্ন চালে, ভিন্ন লজিকে। প্রথাগত যুক্তিশৃঙ্খলার গভীর বিপর্যয়সাধনের মধ্য দিয়ে কবি রূপায়িত করে তোলেন এক অলৌকিক নৈরাজ্যবিন্যাস। তারপর তার সেই স্বরচিত বিশৃঙ্খলার ভেতর থেকে সৃজন করতে থাকেন ভিন্নতর এক নান্দনিক শৃঙ্খলা, এক ভাষাতীত ভাষাপ্রপঞ্চ। শৃঙ্খলা ভেঙেচুরে নতুন শৃঙ্খলা। ‘অর্ডার অব ডিসঅর্ডার’-এর গণিত… গণিতের উচ্চতর ক্রিয়াকলাপ।

কবির সেই ‘বিকল্প জগৎ’ সৃষ্টির যে-রসায়ন, তাতে অবলীলাক্রমে, এক অকপট বিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, এক ইনসাইটফুল অভিব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লেষ ঘটে নানা ছন্দ ও স্পন্দন, প্রতিমা ও প্রতীক, উপমা ও রূপকের। আর মানুষের মনের ওপর ছন্দ-স্পন্দন, উপমা-রূপকমেশানো ইনসাইটফুল ভাষার অভিঘাত সবসময়ই হয় তীব্র ও কার্যকর। একটি উত্তম কবিতা তাই ছুঁয়ে যায় পাঠকের যুগপৎ হৃদয় ও মনন, দুলিয়ে দেয় তাকে, মনে হানা দেয় প্রতিনিয়ত। উৎকৃষ্ট কবিতা কোনো-না-কোনোভাবে ছাপ ফেলেই যায় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিতে। একজন প্রকৃত কবি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন ‘ভয়েস অব হিজ ট্রাইব’। ব্যক্তি ও সমাজের নানা প্রয়োজনে, আয়োজনে ও সংকটে মানুষ যায় কবিতার কাছে— চিদানন্দের জন্য, শুশ্রূষার জন্য, উদ্দীপনার জন্য।

এগুলি তো আছেই, কবিতার গুরুতর দিক আমার বিবেচনায় অন্যত্র। কবিতা লেখা হয় শব্দ দিয়ে, যে-শব্দরাশি একটি জনগোষ্ঠির ভাষার অন্তর্গত, যে-ভাষা ফের সামাজিক সম্পদ। আর ভাষার সবচেয়ে সূক্ষ্ম, সংবেদনশীল, স্থিতিস্থাপক, সৃজনমুখর ও সৃষ্টি-উন্মুখ দিকগুলি নিয়েই কবিতার কারবার। শব্দের প্রচলিত, অভিধানসিদ্ধ অর্থেরও অতিরিক্ত, সম্প্রসারিত ও নব্য অর্থের সম্ভাবনাকে ক্রমাগত উসকে দিতে থাকে কবিতা। টালমাটাল করে দিতে থাকে শব্দের প্রথাগত অর্থ, উৎপাদন করে নতুন-নতুন অর্থ। ভাষার বিভিন্ন সুপ্ত শক্তি ও সম্ভাবনাকে বিচিত্র ধারায় উন্মোচন করে করে এগিয়ে চলে কবিতা।

পোয়েট্রি ইজ দ্য সুপ্রিম ইউজ অব ল্যাংগুয়েজ । মানুষ ভাষিক প্রাণী; সমাজ একটি ভাষাবদ্ধ ব্যবস্থা। আর কবিতা সেই ভাষার মধ্যে ঘটিয়ে দেয় এবং নিত্য জারি রাখে একধরনের বৈপ্লবিক অন্তর্ঘাতের ধারা, নীরবে-নীরবে, আস্তে-আস্তে, গেরিলা কায়দায়। আর এভাবে প্রতিনিয়ত ঝাঁকুনি-খেতে-থাকা ভাষার মধ্য দিয়েই ঝাঁকুনি খায় সমাজের নানা ক্ষেত্রের স্থিতাবস্থা, রক্ষণশীলতা। কবিতা ঢেউ তোলে ভাষার সাগরে আর সেই ঢেউয়ের ধাক্কা গিয়ে লাগতে থাকে সমাজে প্রচলিত নানা প্রথা ও মূল্যবোধে। কবিতার কাজ এক্ষেত্রে নীরব, অন্তর্ঘাতমূলক। আপাতদৃষ্টিতে, বাইরে থেকে হয়তো বোঝা যায় না, কিন্তু কাজ চলে নীরবে, ভেতরে-ভেতরে। আর বলাই বাহুল্য, এই অন্তর্ঘাত সদর্থক। এই অন্তর্ঘাত ইতিবাচক।

কবিতা দর্শনের আগে-আগে-থাকা একটি শিল্পপ্রপঞ্চ। এটি সবসময় তা-ই ছিল। একটি কালপর্বের কবিতার মধ্যে আগাম পাওয়া যায় সেই কালের অস্ফুট ও স্ফুটমান বিভিন্ন চিন্তা ও দর্শনের রূপরীতি, তাদের নানারকম উদ্ভাস। একটি কালখণ্ডের মধ্যে জন্ম-নেওয়া কাব্যসমুদয়ের বিপুল হাঁড়িতে ফুটতে থাকে, আকার পেতে থাকে সেই সময়কালের নানা চিন্তা, ভাব ও দর্শন।

সমাজে নানা মানুষের নানা মত-পথ, নানা সংস্কৃতি-উপসংস্কৃতি। যার-যার ধর্ম, আদর্শ, রাজনীতি তার-তার অহং। ধর্ম, আদর্শ ও রাজনীতি যেখানে নানা বৈচিত্র্যে, নানা ভাগে ভাগ করে রাখে মানুষকে, সেখানে কবিতা বা যে কোনো নন্দনশিল্প, চিত্তে আবেদন জাগিয়ে, অর্থাৎ চিত্ত ধরে এক পঙক্তিতে প্রসাদ খাইয়ে ছাড়ে সবাইকে, বিচিত্র-এমনকি-পরস্পরবিরোধী নানা মত-পথ-কৃত্য-বিত্ত-সংস্কৃতির মানুষকে। সুকুমারবৃত্তি কাজ করে এভাবেই অন্য এক উচ্চতর স্তর থেকে। ঘটিয়ে দিতে চায় বৈচিত্র্যর ভেতরে ঐক্য, বিভেদের ভেতরে অভেদ।

নন্দনশিল্প চিত্তে আবেদন ঘটায় নানাভাবে— কখনো রাঙিয়ে, কখনো জাগিয়ে। মনকে কখনো শমিত, কখনো উত্তেজিত উদ্দীপিত করে তোলার মাধ্যমে। শিল্পের ভূমিকা তাই চিত্তরঞ্জন এবং চিত্ত-জাগানিয়া, উভয়তই।

৩.
দৃশ্য, চিত্র, স্মৃতি, স্বপ্ন ও কল্পনাচূর্ণের সংশ্লেষ ও মন্থন ঘটে কবিতায়। সঙ্গে যুক্ত হয় অনুভূতির উত্তাপ। সেই উত্তাপে কবিতায় সরের মতো জেগে ওঠে মিহি এক অর্থস্তর। কবিতা এভাবেই কিছু অর্থ উপরিতলে ভাসিয়ে রেখে ভেতরে-ভেতরে ঘটিয়ে দেয় সূক্ষ্ম অনর্থ। কবিতা থাকে ধরা-অধরার লাচলে। আর সেই 'ধরা'টুকু দিয়ে 'অধরা'টুকুকে ধরবার জন্য থাকে সংবেদী সমঝদার পাঠকের ব্যাকুলতা।

ধু-ধু বালিয়াড়িতে, ঠিক জল নয়, জলের আভাস ফুটিয়ে তোলে কবিতা। ঘটিয়ে তোলে সর্পতে রজ্জুবিভ্রম, কিংবা রজ্জুতে সর্পপ্রমাদ। আর শালুক শ্যাওলা দামঘাসে ভরা রাতের জলাভূমিতে মিটিমিটি-জ্বলা মিথেনের আলো-কে আলেয়া আকারে প্রতিভাত করায় কবিতা। ভূতপূর্বকে করে তোলে অভূতপূর্ব।

কবিতা নানা ধরনের। কোনো কোনো কবিতা পাঠককে এক স্নিগ্ধ নাতিধীর গতিতে চালিয়ে নিয়ে পৌঁছিয়ে দেয় গন্তব্য— খুবই সাধারণ এক স্টেশন থেকে উঠিয়ে নিয়ে নানারূপ দৃশ্য ও হাওয়াপ্রবাহের ভেতর দিয়ে নিয়ে গিয়ে পৌঁছিয়ে দেয় এক নতুন, অভাবিতপূর্ব স্টেশনে। অভাবিত, তবে সুনিশ্চিত সেই স্টেশন। সেসব কবিতা দেয় গন্তব্যের নিশ্চয়তা, নির্ভরতা। পাঠশেষে পাঠকের ভেতরে জাগে এক ধরনের বিস্ময়জনিত মুগ্ধতা, সেইসঙ্গে সে পায় অভিযানের সম্পূর্ণতা।

আবার কোনো কবিতা আছে যে কবিতা নিয়ে যায় না কোনো গন্তব্যে, পাঠককে নানারূপ বাঁকাগতি দেখিয়ে, চোরাপথে ঘুরিয়ে, নানারকম ইন্দ্রিয়হর্ষ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়ে হঠাৎ ছেড়ে দেয় এক অচেনা অনিশ্চিত প্রান্তরে। এই যে ইন্দ্রিয়হর্ষ অভিজ্ঞতা আর অভিযানের এই যে অসম্পূর্ণতা এতেও মুগ্ধ হয় অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পাঠক।

কোনো কোনো কবিতা পৌঁছিয়ে দেয় না, আবার কোনো কবিতা দেয়। কোনো কবিতা থিমেটিক, বিষয়নির্ভর। কোনোটা নির্বিষয়। কোনো কবিতা দেয় ভাবের সম্পূর্ণতা, কোনোটাতে থাকে ভাঙা-ভাঙা ইমেজ, আর ভাবের অসম্পূর্ণ উদ্ভাস।


মাসুদ খান

কবি, লেখক, অনুবাদক
জন্ম ২৯ মে ১৯৫৯, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলালে।
পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জ। প্রকৌশলবিদ্যায় স্নাতক,
ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর। তড়িৎ ও ইলেকট্রন প্রকৌশলী।
বর্তমানে কানাডায় বসবাস।

প্রকাশিত বই:
পাখিতীর্থদিনে (১৯৯৩, পুনঃপ্রকাশ ২০১৯)
নদীকূলে করি বাস (২০০১)
সরাইখানা ও হারানো মানুষ (২০০৬)
আঁধারতমা আলোকরূপে তোমায় আমি জানি (২০১১)
এই ধীর কমলাপ্রবণ সন্ধ্যায় (২০১৪)
দেহ-অতিরিক্ত জ্বর (২০১৫)
প্রজাপতি ও জংলি ফুলের উপাখ্যান (২০১৬)
প্রসন্ন দ্বীপদেশ (২০১৮)
গদ্যগুচ্ছ (২০১৮)
শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০১৮)
পাখপাখালির গান পাগলাঝোরার তান (২০১৯)
ঊর্মিকুমার ঘাটে (২০২০)

শেয়ার করুন

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts

Begin typing your search term above and press enter to search. Press ESC to cancel.

Back To Top
error: Content is protected !!